শিরোনাম
Passenger Voice | ০২:৫২ পিএম, ২০২৪-০৪-১৫
ঈদের দিন সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্ট দেওয়া হয় এতে।
তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর মুডে ছিলাম। সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। আপনারা জানেন জাহাজের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে অভিযুক্ত একটি লঞ্চের মালিক একজন এমপি- এ বিষয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্তে সেটা বেরিয়ে আসবে কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।
এখানে যদি সার্ভেয়ারদের কোনো দুর্বলতা থাকে সেটাও শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সদরঘাটে লঞ্চের ভিড়ে জায়গা না থাকার পরও অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। সারা বছরই এই প্র্যাক্টিসটা হয়। এটার বিষয়ে আপনারা দৃষ্টি দেবেন কী না- জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোনো মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। মনে করেন এটার সঙ্গে মন্ত্রী বাহাদুর যুক্ত আছে বা অন্য কেউ যুক্ত আছে, তখন অন্য লঞ্চের সঙ্গে স্টাফরা এই ধরনের আচরণ করে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.